রামকান্তপুর গণকবর: ১৯৭১ খ্রিঃ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৩০ লক্ষ শহিদ হয়েছে। কেও শহিদ হয়েছেন সম্মুখযুদ্ধে আবার অনেকেই প্রাণ দিয়েছেন তৎকালীন পাকিস্তানিদের দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-সামস দের সহায়তায় পাকিস্থানি সেনাবাহিনির হাতে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধকে বাধাগ্রস্থ করার জন্য, মুক্তিযুদ্ধকে বিলম্বিত করার জন্য, মুক্তিপাগল বাংলার আমজনতাকে দমানোর জন্য, সাধারণ আমজনতাকে ধরে নিয়ে গিয়ে সারি করে দাঁড় করিয়ে ব্রাসফায়ার করে হত্যা করেছে এবং একসাথে বহুজনকে ধর্মীয় বিধি ছাড়াই মাটিচাপা দিয়েছে। হয়েছে গণকবর। অনেকের পরিবার তাঁদের স্বজনদের শবদেহ দেখারও সুযোগ পান নাই। এ রকম হাজারও গণকবর আমাদের এই বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, আমাদের ০৬ নং দুয়ারিয়া ইউনিয়নও এর বাইরে নয়। দুয়ারিয়া ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডে, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে প্রায় ০৫ কিলো মিটার দক্ষিণে রামকান্তপুর গ্রামে আছে এমনই একটি গণকবর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৭ই এপ্রিল রামকান্তপুর আমবাগান গণকবরে রামকান্তপুর গ্রামের শহিদ সিরাজ উদ্দিন প্রামানিক,শহিদ আব্দুল কাদের প্রামানিক, শহিদ হাজির উদ্দিন প্রামানিক, শহিদ আব্দুল মালেক, শহিদ আবুল কাসেম মন্ডল, শহিদ সিরাজ উদ্দিন প্রামানিক, উপজেলার পার্শবর্তী এবি ইউনিয়নের ডহরশৈলা গ্রামের শহিদ আরসেদ আলী,শহিদ এরশাদ আলী, শহিদ মুনছের আলী, শহিদ মসলেম উদ্দিন, শহিদ ইসমাইল হোসেন, শহিদ জিয়াউর রহমান, শহিদ আন্তু বিশ্বাস, শহিদ আব্দুল করিম, অত্র ইউনিয়নের মহেশ্বর গ্রামের শহিদ জাবেদ আলী সহ নাম না জানা আরও অনেককে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধরে এনে সারি বদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে মাটি চাপা দেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনি।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS