সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ প্রাচীণ এ ঐতিহ্যবাহী হাতিওয়ালা পুকুরের খননকাল সঠিকভাবে কেও বলতে পারে না। তবে লোকমুখে জানা যায় আজ থেকে প্রায় ১২০ বছর আগে কোন এক প্রথিত যসা জোতদার সাড়ে নয় বিঘা জমির উপর প্রায় সোয়া তিন বিঘা জলকর বিশিষ্ট ১৪ ফুট গভীরতার এ পুকুরটি খনন করেন। পুকুরের উত্তর পাড়ির মাঝামাঝি একটি সুন্দর সানবাঁধানো ঘাট আছে। যার সিঁড়ি সংখ্যা ২৮ টির মত এবং ঘাটের দুপাশে বেশ প্রশস্থ ও উচু সিঁড়ি রয়েছে এবং সিঁড়ির উপরে প্রায় ১৪ বর্গ ফুটের একটি উঠোন আছে যার তিন দিকে অপেক্ষমান স্নানার্থীদের জন্য বসার জায়গা ছিল যা আজ আর নেই। উঠোন ও সিঁড়ির মাঝে সিঁড়ির দুপাশে দুটি হাতি এবং ঠিক তার পেছনেই দুজন ব্যক্তি দন্ডায়মান। উঠোনের ঠিক পূর্ব পাশে কাপড় পাল্টানোর জন্য একটি সুন্দর টং ঘর ছিল। উল্লেখ্য পুকুর ঘাটের সমস্ত কিছুই চুন সুরকি দিয়ে করা। লোকমুখে কথিত আছে পুকুরটি খননের পর থেকে অদ্যাবধি কোনদিন জল শুকায়নি এমনকি কোনদিন বাইরের জলও ঢুকেনা বা ঢুকানো হয় না। শুধু মাত্র একবার ১৯৮৪ সালের বন্যার সময় অতি উতসাহী জনতার পীড়াপিড়িতে জল ঢুকানো হয়। ব্যাক্তি মালীকানাধীন এ পুকুরটি হারিয়েছে তার যৌবন,আজ পৌড়ত্বে তার অবস্থান, আজ আর কোন কিছুই আগের মত নেই। সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে আজ নিঃশেষ প্রায় সুন্দর মনোরম বাঁধানো ঘাটটি, তবুও আজও আছে, জানিনা কতকাল থাকবে,থাকতে পারবে এক সময়ের স্বমহিমায় মহিমান্বিত হাতিওয়ালা পুকুর।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS